আপনি যদি ফেসবুকে কোনো পেইজ পরিচালনা করে থাকেন বা ফেসবুকে নিজস্ব বা অন্য কোন ব্র্যান্ডের বিজনেস করে থাকেন অথবা ফেসবুকে পেইজে ভিডিও তৈরী করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি ফেসবুক পেইজ বুস্ট এই শব্দটির নাম শুনেছেন।এবং কোনো না কোনো সময়ে চিন্তা করেছেন আপনিও আপনার ফেসবুক পেইজ বুস্ট করবেন।কিন্তু আপনি জানেন না ফেসবুক পেইজ কিভাবে বুস্ট করতে হয়? ফেসবুক পেইজ বুস্ট কি? ফেসবুক পেজ বুস্ট করলে কি কি সুবিধা পাবেন?ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে। এই আর্টিকেলে ফেইসবুক পেইজে বুস্ট করার পাশাপাশি জানতে পারবেন ফেসবুক পেইজে বুস্ট সংক্রান্ত আরও অনেক সিক্রেট বিষয়াবলি। তাই এই আর্টিকেল টি যদি আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনার ফেইসবুক পেইজ বুস্ট নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন কিংবা সন্দেহ থাকবে না।
বেস্ট ফেসবুক বুস্টিং সার্ভিস বাংলাদেশ
ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে এড দিয়ে ব্যবসার প্রসার ঘটাতে চান অনেকেই। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল ডেবিট কার্ড না থাকার কারণে অনেকেই এই কাজটি করতে পারেন না। এজন্য অনেকেই বেস্ট ফেসবুক বুস্টিং সার্ভিস বাংলাদেশ এর সন্ধ্যান করেন। বাংলাদেশ থেকে ফেসবুক বুস্ট করাতে চান যারা তাদের জন্য বেস্ট চয়েজ হচ্ছে বুস্টবক্স বিডি। বুস্টবক্স বিডি হলো বাংলাদেশের সেরা ফেসবুক বুস্টিং সার্ভিস।
বেস্ট ফেসবুক বুস্টিং সার্ভিস বাংলাদেশ এ বসে সেবা নিতে ভিজিট করুন বুস্টবক্স বিডি'র ওয়েবসাইটে। মেনু থেকে যোগাযোগ অপশনে ক্লিক করলেই সরাসরি কথা বলতে পারবেন অভিজ্ঞ ডিজিটাল মার্কেটারের সাথে। আরো বিস্তারিত জানতে যেকোনো সময় ইনবক্সে নক করুন বেস্ট ফেসবুক বুস্টিং সার্ভিস বাংলাদেশ এর সেবা পেতে বুস্টবক্সে।
ফেসবুক বুস্ট করতে সমস্যা হচ্ছে?
অনেক সময় দেখা যায় বুস্ট করার সময় অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। যেমন লেখা থাকে ফেসবুক বুস্ট আনএবেইলএবল ইত্যাদি। এই ধরনের সমস্যার ও প্রোপার সমাধান পাবেন এই আর্টিকেলে। এখন সরাসরি মূল টপিকে চলে যাওয়া যাক যে ফেসবুক পেইজ কিভাবে বুস্ট করতে হয় বা বুস্ট করার নিয়ম কি। তার আগে ছোট্ট করে জেনে নেওয়া যাক এই বুস্ট মূলত কি?
ফেসবুক বুস্টিং বা ফেসবুক পেইজ বুস্ট কি?
ফেসবুক পেজ বুস্ট বলতে বোঝায় ফেসবুকে এড বা বিজ্ঞাপন দেওয়া।এখন প্রশ্ন হলো আপনি কেনো ফেসবুকে এড বিজ্ঞাপন দিবেন?ফেসবুক পেইজে বিজ্ঞাপন দেওয়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। যেমন আপনি যদি আপনার ফেসবুক পেইজে আশা অনুরূপ রিচ না পেয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার ফেসবুক পেইজে রিচ বাড়ানোর জন্য ফেসবুক পেইজ বুস্ট করতে পারেন।ফেসবুক পেজ বুস্ট করার অন্যতম একটি কারণ হলো টার্গেটেড অডিয়েন্স গেইন করা।অর্থাৎ আপনি যদি কোন সার্ভিস বা পণ্য সেবা দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার যেই টার্গেটেড অডিয়েন্স রয়েছে সেই অডিয়েন্সের কাছে আপনার পণ্য বা সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আপনি চাইলে ফেসবুক পেজ বুস্ট করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার ফেসবুক পেইজে ভিডিও নিয়ে কাজ করে থাকেন তাহলে ওই ভিডিও হলো আপনার ফেসবুক পেইজ এর পণ্য বা প্রোডাক্ট। এখন প্রশ্ন করতে পারেন ভিডিও কিভাবে আবার পণ্য হতে পারে?ধরুন আপনি আপনার ফেসবুক পেইজে টেকনোলজি বা মোবাইল রিভিউ এর ভিডিও প্রকাশ করে থাকেন। এখন আপনার এই ভিডিও তো কোনো এক বা দুই বছরের বাচ্চারা দেখবে না। এই ধরনের ভিডিও দেখবে যারা মোবাইল কিনবে বা মোবাইল সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।আপনি ফেসবুক পেইজ বুস্ট করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার পছন্দের অডিয়েন্স সিলেক্ট করে দিতে পারবেন। তাই বলা যায় ভিডিও একটি ডিজিটাল প্রডাক্ট।
ফেসবুক পেইজ বুস্ট করতে কি কি প্রয়োজন হবে?
আশাকরি এতক্ষণে বুঝে গিয়েছেন ফেসবুক পেজ বা ফেইসবুক বুষ্টিং কি।আপনাকে শুধু ফেসবুক বুস্টিং কি সেটা জানলে হবে না ফেসবুক পেইজ বুস্ট করতে কি কি লাগবে সেটাও জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।আপনি যেহেতু ফেসবুক পেইজ বুস্ট করবেন তাই সর্বপ্রথম আপনার প্রয়োজন হবে একটি ফেসবুক পেইজের।আপনার শুধু ফেসবুক পেইজ থাকলে হবেনা। ফেসবুক পেইজ টাকে ভালো করে কাস্টমাইজেশন করতে হবে। অর্থাৎ বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর পোস্ট করে রাখবেন এবং সুন্দর দেখে একটা প্রোফাইল পিকচার বা লোগো দিয়ে দিবেন এবং ভালো দেখে একটা কভার ফটো থাকতে হবে।ফেসবুক পেইজ বুস্ট করার জন্য ভালো কাস্টমাইজেশন থাকা লাগবে এটা কোনো নিয়মে নেই। কিন্তু ভাল করে কাস্টমাইজ থাকা এটা অত্যন্ত ভালো একটা বিষয়। কেননা আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্স আপনার ফেসবুক পেইজে এসে যদি সুন্দর করে কাস্টমাইজ করা দেখে তাহলে সে আপনার ফেসবুক পেইজ টাকে আরো বেশি বিশ্বাস করবে।
তারপর আপনার প্রয়োজন হবে একটা মাস্টার কার্ড। আপনাকে মাস্টার কার্ডের মাধ্যমেই মূলত পেমেন্ট করতে হবে।আর মনে রাখবেন আপনার মাস্টার কার্ডে যেনো অবশ্যই ডুয়েল কারেন্সি একটিভ করা থাকে।আপনার কাছে যদি ডাচ-বাংলা ব্যাংক বা ইসলামী ব্যাংক অথবা অন্য কোনো ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট বা স্টুডেন্ট একাউন্ট এর যেসকল কার্ড আপনি ব্যাংক থেকে থাকেন সেই কার্ড দিয়ে আপনি বুস্ট করতে পারবেন না। সেই কার্ড শুধুমাত্র আপনি এটিএম বুথে ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনার যদি কোনো ডুয়েল কারেন্সি একটিভ থাকা মাস্টারকার্ড আপনার কাছে না থাকে তাহলে আপনার চিন্তা করার দরকার নেই। আপনার জন্য আমার একটা স্পেশাল সারপ্রাইজ রয়েছে।স্পেশাল সারপ্রাইজ টা হলো আপনাকে আমি বলে দিবো কিভাবে আপনি বাংলা টাকা অর্থাৎ আমাদের দেশে যে টাকা রয়েছে সেই টাকা দিয়ে আপনি যেকোনো কিছু বুস্ট করতে পারেন সেটা হতে পারে আপনার ফেসবুক পেইজ বা আপনার ইউটিউব ভিডিও বা অন্য যেকোনো কিছু।তাই আপনাকে আমি আবারো অনুরোধ করবো এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।
ফেসবুক পেইজ বুস্ট করার নিয়ম
আপনাকে সর্বপ্রথম ফেসবুকে একটা বিজনেস একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। বিজনেস একাউন্ট তৈরি করার পর আপনি সেখানে অনেক অনেক অপশন দেখতে পাবেন। সেই অপশন গুলোর মধ্যে থেকে আপনি বিলিং এড্রেস নামক একটি অপশন পাবেন সেখানে আপনার মাস্টার কার্ড এর ডিটেইলস বসাতে হবে। তারপর একটা ক্যাম্পেইন তৈরি করে নিবেন।ক্যাম্পেইন তৈরি করার পর আপনি অডিয়েন্স টার্গেট করে আপনি যেই ভিডিও বা পোস্ট বা পণ্য বুস্ট করতে চান সেটা করতে পারবেন। আপনি অবশ্যই করার আগে কতো ডলার দিয়ে বুস্ট করতে চান কতদিন ক্যাম্পেইনটি চালু রাখতে চান ইত্যাদি বিশেষ সিলেক্ট করে দিবেন।
বাংলা টাকা দিয়ে ফেসবুক পেইজ কিভাবে বুস্ট করবেন
সত্যিকার অর্থে বাংলা টাকা দিয়ে ফেসবুক ভিডিও বা ফেসবুক পেজ বুস্ট করা যায় না।কিন্তু আপনি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে সহজে বাংলা টাকা দিয়ে ফেসবুক ভিডিও বা ফেসবুক পেইজ বুস্ট করতে পারেন। আপনি চাইলে সর্বপ্রথম বাংলা টাকা দিয়ে অনলাইন ভিত্তিক একটি মাস্টার কার্ড কিনে নিতে পারেন সেই মাস্টারকার্ডটি হয়তো মাস বা চার মাসের জন্য একটিভ থাকবে সেই মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই বুস্ট এর কার্যক্রম করতে পারেন।
বাংলা টাকা দিয়ে ফেসবুকে বুস্ট করার সেরা উপায় হলো বুস্টবক্স বিডি। কারণ বুস্টবক্স বিডি হলো বেস্ট ফেসবুক বুস্টিং সার্ভিস বাংলাদেশ, যা আপনার ফেসবুক পেইজ এবং পোস্টকে কাঙ্ক্ষিত অডিয়েন্সের কাছে নিয়ে যেতে সক্ষম। অভিজ্ঞ ডিজিটাল মার্কেটার দিয়ে আপনার ফেসবুক পেইজ এবং পোস্ট বুস্ট করে দিবে বুস্টবক্স বিডি ফেসবুক বুস্টিং সার্ভিস বাংলাদেশ।
আরেকটি উপায় হলো ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ। আপনি ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে যদি পোস্ট দেন যে আপনার একটি বুস্ট সার্ভিস দরকার তাহলে অনেক মানুষ দেখবেন আপনার ওই পোস্টে কমেন্ট করবে যে তারা তাদের মাস্টার কার্ড দিয়ে আপনার ফেসবুক পেজ বুস্ট করে দিবে তার বিনিময়ে আপনি তাদেরকে কিছু অতিরিক্ত টাকা প্রদান করবেন।
ফেসবুক বুস্ট করতে কত টাকা লাগে
আপনারা যারা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিতে চাচ্ছেন, তারা হয়ত অনেকে ভাবেন যে বিজ্ঞাপন দিতে অনেক টাকা লাগে। আসলে ফেসবুকের বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা এতটা উন্নত যে আপনি দেশের আনাচে-কানাচে অনেক কম টাকায় প্রচারণা করতে পারবেন। তবে দুটি শর্ত পূরণ করতে পারলে তবেই আপনি খরচ কম রাখতে পারবেন। এক হল, বিজ্ঞাপন চালনায় দক্ষতা। দুই, আপনার পণ্য যদি ব্যতিক্রমী হয়। ফেসবুক সাধারণত বিডিং পদ্ধতিতে প্রচারণা চালায়। অর্থাৎ, একই পণ্য নিয়ে যদি দুইটি পেইজ বিজ্ঞাপন দেখাতে চায়, সেই ক্ষেত্রে ফেইসবুক তার বিজ্ঞাপনটাই আগে দেখাবে যে প্রতি ‘Impression’ এর জন্য বেশি টাকা দিতে রাজি। এখন তার মানে এই না, আপনি বেশি টাকা খরচ করলে আপনার বিজ্ঞাপন বেশি মানুষ দেখবে। আবার বেশি মানুষ যদি দেখেও তাতে বিক্রি নাও বাড়তে পারে। পুরোটাই নির্ভর করে আপনি কীভাবে সেটাপ করছেন তার উপর। যেমন, আপনি আইফোন বিক্রি করছেন। কিন্তু আমি হয়ত এন্ড্রয়েড ফোনের ভক্ত। এখন আপনি যত সুন্দর বিজ্ঞাপনই আমাকে দেখান না কেন, আমি কিন্তু কিছু কিনব না। আবার যার হয়ত আইফোন কেনার বাজেট নাই, সেও কিনবে না। তাই কতজন আপনার বিজ্ঞাপন দেখল, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কারা দেখল। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কয়টা বিক্রি হল। এমনকি শুধু ব্র্যান্ডিং এর জন্য প্রচারণা চালালেও শেষ পর্যন্ত বিক্রিটাই মুখ্য।
ফেসবুক বুস্ট করতে কত খরচ হয়
ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিতে কমপক্ষে দৈনিক ১ ডলার খরচ করতে হবে। ডলারের রেট অনুযায়ী টাকার পরিমাণ নির্ধারণ হয়। ডলারের রেট সাধারণত ৮০ টাকার উপরে থাকে। আপনার ব্যবসার ধরন বুঝে বাজেট ঠিক করুন। বাজেট কম হলে, প্রথম অবস্থায় সর্বনিম্ন ১ ডলার খরচ করে বাজার যাচাই করতে পারেন।
তবে সুখের কথা হল, বাংলাদেশে এখনও ফেসবুক বুস্টিং এর খরচ অনেক কম। আপনি যে লেভেলের ব্যবসায়ীই হন না কেন, দেশে অনেক কম টাকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়। ২০০ টাকার ড্রেস থেকে শুরু করে ১ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি – সব ব্যবসাতেই ফেসবুকের বিজ্ঞাপন খরচ কম। আমি একটি পেজের হয়ে দিয়েছি যাদের প্রতিটি পণ্যের দাম ১০ লাখ টাকার উপরে। কিন্তু ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিতে টাকা বেশি লাগে নাই। তবে দামি জিনিসের ক্রেতাও কম। সব কিছু মাথায় রেখেই বাজেট ঠিক করতে হবে।
বিজ্ঞাপনের ধরণের উপর নির্ভর করে আপনার খরচ কেমন হবে। যদি শুধু বুস্ট করতে চান, তাহলে দৈনিক একটা বাজেট ধরতে হবে। বুস্ট মানে হল, আপনি এত ঝামেলায় যাবেন না, ফেসবুককে কিছু টাকা ধরিয়ে দিবেন। এবার ফেসবুক আপনার ব্যবসা বুঝে সম্ভাব্য ক্রেতা খুঁজে বের করবে। ধরুন আপনি ১০০ টাকার বুস্ট করলেন, আপনার বিজ্ঞাপনটি ১০০০ মানুষ দেখল। এবার ২০০ টাকার বুস্ট করলেন, আপনার বিজ্ঞাপনের দর্শকও প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। কিন্তু দ্বিগুণ হওয়া মানেই কী ভাল? কারণ ফেসবুক তো বিজ্ঞাপন দেখিয়েই খালাস। বিক্রি তো হতে হবে। অবশ্য পত্রিকার বিজ্ঞাপন বা আপনার এলাকায় ব্যানার লাগানোর সাথে ফেসবুক বিজ্ঞাপনের পার্থক্য অনেক। ফেসবুকে আপনি নির্দিষ্ট বয়স, লিঙ্গ, শ্রেণী-পেশা এমনকি নির্দিষ্ট আচরণের মানুষকে লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপন ছাড়তে পারবেন। তার জন্য একটু ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার ব্যাপারে একটু ধারণা থাকতে হবে। ধরুন আপনি লিপস্টিকের বিজ্ঞাপন দেখাবেন। কিন্তু সেটা আমাকে দেখিয়ে লাভ নাই। এতে আপনার টাকা অপচয় হবে। আবার কোন বয়ষ্ক ব্যক্তিদের দেখালেও আপনার বিজ্ঞাপন ভাল কাজ করবে না। একজন তরুণীকে যদি এই বিজ্ঞাপন দেখান, তাহলে কাজে দিবে। এদিক দিয়ে ফেসবুক খুবই কাজের। যাকে চান তাকেই দেখাতে পারবেন।
অবশ্যই ফেসবুকের অনেক খুঁটি-নাটি ব্যাপার আছে। সীমাবদ্ধতা আছে। তবে দিন যত যাচ্ছে, আরও বেশি মানুষ ফেসবুকে সময় কাটাচ্ছে। তাই এই মুহুর্তে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য সেরা উপায় হলো বুস্টবক্স বিডির সার্ভিস নেয়া। বেস্ট ফেসবুক বুস্টিং সার্ভিস বাংলাদেশ সেবা দিয়ে থাকে বুস্টবক্স বিডি।
ফেসবুক বুস্টে কি অনর্থক খরচ হতে পারে?
অবশ্যই পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নতুনরা কিছু সাধারণ ভুল করে থাকেন। যেমন বুস্ট পোস্ট দিয়েই টাকা ঢালতে থাকেন। এতে অনাকাঙ্খিত টাকা খরচ হতে পারে। নতুনদের উচিত টাকা ঢালার আগে সীমিত আকারে বিজ্ঞাপন দেওয়া। আবার এটাও সত্য, বিজ্ঞাপন দিয়ে এক ঘন্টা পর ফলাফল আশা করলে নিরাশ হবেন। সাধারণত দুই দিন না গেলে নতুন বিজ্ঞাপনটির কার্যকারিতা ধরা যায় না। এজন্য আপনার উচিত বাংলাদেশর বেস্ট ফেসবুক বুস্টিং সার্ভিস এর সেবা নেওয়া।
আপনি যদি ফেসবুকে প্রচলিত কিছু ধ্যান ধারণার বশবর্তী হয়ে বুস্ট করতে থাকেন, তাতে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়বেন। কারণ আপনার মত অন্যরাও একই প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য একই দর্শকের কাছে বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে। এতে দর্শক বিরক্ত হচ্ছে। ধরুন আমি প্রতিদিনই বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপন দেখি মিষ্টি নিয়ে। এখন একজন মানুষের পক্ষে এত মিষ্টি কেনা সম্ভব না। সুতরাং যারা আমাকে বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছেন, তাদের টাকাটা লস। আমাকে দেখিয়ে লাভ নাই। বরং এমন মানুষদের দেখাতে হবে যারা ফেসবুকে কোন মিষ্টির বিজ্ঞাপন দেখে নাই কিন্তু কেনার সম্ভাবনা আছে। কারণ তাদের কাছে পুরো জিনিসটাই নতুন। সেটা কীভাবে করবেন সেটা নিয়েও কথা বলার ইচ্ছা আছে। আপাতত ইউটিউবে অনেক ভিডিও পাবেন।
আবার ঠিকভাবে মার্কেট বিশ্লেষণ না করলে আপনার বিজ্ঞাপনের জন্য অহেতুক খরচ হবে। আপনি হয়ত ভাবছেন যে আমি সিপিসি ঠিক করে দিব। অর্থাৎ শুধু ক্লিক পেলেই বা মেসেজ করলেই টাকা দিব। কিন্তু ভুলে যাবেন না, ফেসবুকে এমন অনেক ব্যবহারকারী আছেন, যারা উল্টোপাল্টা মেসেজ দিতে দ্বিধাবোধ করেন না। অনেকে আছেন যারা আপনার পেইজে ‘হাই’ লিখে মেসেজ করবেন। আর কোন রিপ্লাই পাবেন না। এদিকে কিন্তু আপনার টাকা জলে।
যদি টাকা জলে না ফেলতে চান তবে আপনার জন্য আছে বেস্ট ফেসবুক বুস্টিং সার্ভিস বাংলাদেশ, বুস্টবক্স।
ফ্রি'তে ফেসবুক বুস্ট করা যায়?
ফেসবুক সব পেজকে ফ্রিতে প্রমোট করে। তবে শুধু ফেসবুকের উপর ভরসা করলে আপনার নিজের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না। আপনি শুধু পেইজের ডিটেইলস ঠিক করে দিবেন, বাকিটা ফেসবুক করবে। কিন্তু সাধারণত মানুষ এমনি এমনি পেইজে লাইকে দেয় না। ধরুন আপনার পেইজের কোন পোস্ট কারও ভাল লাগল, সেই ক্ষেত্রে সে হয়ত আপনার পোস্ট শেয়ার করতে পারে। এভাব শেয়ারকারীর পোস্ট থেকে আপনার পেইজে লাইক আসবে। আপনি যদি মজার বা ইন্টারেস্টিং পোস্ট শেয়ার না করেন, তাহলে আসলে ফ্রি প্রমোট করা কঠিন। ফেসবুক আপনার পেইজ মানুষজনকে দেখাবে ঠিকই, কিন্তু মানুষের লাইক পাবেন না। এখন এত পেইজের ছড়াছড়ি যে ফ্রিতে তেমন প্রচারণা করা যায় না।
আপনি চাইলে আপনার বন্ধুদের ইনভাইট করে পেইজে লাইক আনতে পারেন। এতে হয়ত শুধু বন্ধুদের কাছে আপনার পোস্টগুলো যাবে, তবে এতেও আপনি লাভবান হতে পারেন। চেষ্টা করবেন আপনার বন্ধুদের দ্বারা শেয়ার করাতে। ফ্রিতে কাজ হয়ে যাবে।
যারা লাইভে এসে প্রোডাক্ট বিক্রি করেন, তারা ফ্রিতেই অনেক মার্কেট পান। কারণ মানুষ লাইভে জিনিস দেখতে পছন্দ করে। আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে আপনি লাইভে আসতে পারেন। লাইভে এসে আপনার লাইভে শেয়ার করার জন্য দর্শকদের কোন ডিসকাউন্ট দিতে পারেন। বিভিন্ন গ্রুপে যোগ দিয়ে লাইভে আসতে পারেন। তবে এর জন্য আগে ফেসবুকে বন্ধু বাড়াতে হবে। বাকিটা এমনিতেই হয়ে যাবে।
আপনি ফেসবুকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পারেন। এতেও প্রচুর গ্রাহক পাওয়া যায়। কেউ কমেন্ট করলে তার ফ্রেন্ডলিস্টের বাকিদেরও নজরে পড়ে।
এছাড়াও আপনার পেজের জন্য একটা গ্রুপ খুলতে পারেন। সেখানে মানুষের প্রশ্নের উত্তর দিন। সবার সাথে ভাল সম্পর্ক তৈরি করুন। এতে সবাই আপনাকে এবং আপনার প্রোডাক্টকে ভরসা করবে। গ্রুপে কেউ বন্ধু এড করলে তার জন্য বিশেষ ডিসকাউন্ট রাখতে পারেন।
তবে দিনশেষে ভালো ফলাফলের জন্য আপনাকে অভিজ্ঞ কারো কাছেই যেতে হবে। সর্বোচ্চ ফলাফল পেতে বেস্ট ফেসবুক বুস্টিং সার্ভিস বাংলাদেশ এ জনপ্রিয় সাইট হলো বুস্টবক্স। আপনাকে আপনার মনমতো পরিষেবা দিতে যেকোনো সময় প্রস্তুত।
Get Us In Touch